আমাদের কথা
জয়পুরহাট বিচার বিভাগ
বৃটিশ শাসনামলে ১৮২১ সালে বৃহত্তর রাজশাহী জেলার চারটি, রংপুর জেলার দুইটি, দিনাজপুর জেলার তিনটি থানা নিয়ে বগুড়া জেলা গঠিত হয়েছিল। তারই অংশ নিয়ে ১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম জয়পুরহাট মহকুমা এবং পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে জয়পুরহাট জেলা গঠিত হয়।
জয়পুরহাট বিচার বিভাগের যাত্রা শুরু হয় তৎকালিন খঞ্জনপুর খাসমহাল কাচারী ভবনে। সেখানেই মূলত জয়পুরহাট মহকুমা এবং জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অফিস-আদালত পরিচালিত হয়ে আসছিল। ১৯৮৪ সালে বগুড়া থেকে পৃথক হয়ে জয়পুরহাট জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং তার ধারাবাহিকতায় বিগত ২৮-০৯-১৯৮৪ খ্রিঃ তারিখে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জেলার প্রথম জেলা ও দায়রা জজ ছিলেন জনাব মোঃ আফতাব উদ্দিন। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রথম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন জনাব মোঃ শামসুল হুদা। বর্তমানে জয়পুরহাট জেলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত ছাড়াও দুইটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদলত, দুইটি যুগ্ম জেলা জজ আদালত, দুইটি সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, তিনটি সহকারী জজ আদালত কার্যকর আছে। এছাড়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অধীনে একটি অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, তিনটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চারটি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রয়েছে। অপরদিকে এই জেলায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং একটি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার পাশাপাশি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সহ বিনামূল্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অন্যান্য সকল আইনী সহায়তা প্রদান করা হয়।
বর্তমানে এই জেলায় জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে কর্মরত আছেন ১৮তম বি সি এস (বিচার) ব্যাচের বিচারক জনাব মোঃ নূর ইসলাম। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে কর্মরত আছেন ৩য় বি জে এস ব্যাচের বিচারক জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। তাঁদের সুযোগ্য নেতৃত্বে জয়পুরহাট বিচার বিভাগের সকল বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এই জেলার বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বদা সচেষ্ট ও তৎপর ভূমিকা রেখে চলেছেন।